ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৮:১৯
বাংলা বাংলা English English

সার্ভার জটিলতায় অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে বিমানবন্দরের ই-গেট


সার্ভার জটিলতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে। উদ্বোধনের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাত্র ২ শতাংশ যাত্রী ই-গেট ব্যবহার করেছে। অথচ জার্মানি থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক ২৭টি ই-গেট (ইলেকট্রনিক গেট) বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়েছে। গত ৭ জুলাই ই-গেট উদ্বোধনের পর ইমিগ্রেশনের জন্য যাওয়া যাত্রীরা কিছুদিন ব্যবহারও করে। কিন্তু তারপরই কেন্দ্রীয় ই-পাসপোর্টের সঙ্গে ই-গেটের সার্ভারের সংযুক্ত নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। আর কিছুদিন যেতে না যেতে মাঝে মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় ই-গেট। ফলে ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বিমানবন্দরে ম্যানুয়ালি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বহির্গমন করে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য ই-গেট সেবা চালুর বিষয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হলেও বাস্তবে তেমন সুফল মিলছে না। ১১ মাস ধরে পরীক্ষামূলক ই-গেট ব্যবহারের পর গত বছরের ৭ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় ই-গেটের কার্যক্রম। আর উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৯৫ হাজার যাত্রী ই-গেট ব্যবহার করেছে। অথচ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাসে গড়ে ৫ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করে। ওই হিসাবে মোট যাত্রীর ই-গেট ব্যবহার করেছে মাত্র ২ শতাংশ যাত্রী। সূত্র জানায়, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ই-গেট দিয়ে একজন ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী মাত্র ১৮ সেকেন্ডে নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবে। ই-পাসপোর্টধারী যাত্রী ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট অতিক্রম করতে পারবে। সেজন্য প্রথমে পাসপোর্টের ডিজিটাল ছবিযুক্ত পৃষ্ঠা ই-গেটের মনিটরে স্পর্শ করতে হবে। তাতেই ১০/১৫ সেকেন্ডের মধ্যে কাচের দরজা খুলে যাবে। ই-গেট দিয়ে প্রবেশ করার পর স্ক্যানিং গেটের সামনে দাঁড়ানোর পর ৫/৬ সেকেন্ডের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-পাসপোর্টের যাবতীয় তথ্য ভেরিফাইড হবে এবং গেট খুলে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে। কিন্তুসার্ভার জটিলতার কারণে অধিকাংশ সময়েই ই-গেট বন্ধ থাকে। সূত্র আরো জানায়, সার্ভার জটিলতার কারণে মাঝেমধ্যে ই-গেটের কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয় না। তখন ম্যানুয়ালি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা। অথচ ই-গেট সম্পূর্ণরূপে চালু থাকলে ইমিগ্রেশনের চাপ অনেকাংশেই কমে আসতো। তাতে সাশ্রয় হতো যাত্রীদের অনেক সময়। বিগত ২০২০ সালের ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী দেশে ই-পাসপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পৃথিবীর ই-পাসপোর্টধারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১১৯তম দেশ। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ইমিগ্রেশন অ্যান্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রায় ৭০ লাখ পাসপোর্টধারীকে ই-পাসপোর্ট দিয়েছে। আরো প্রায় এক কোটি মেশিন রিডেবল (এমআরপি) পাসপোর্ট রয়েছে। এখন এমআর পাসপোর্ট প্রদান বন্ধ রয়েছে। এদিকে এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম জানান, ই-গেট চালু হওয়ার পর থেকে যাত্রীরা তা ব্যবহার করে সেবা পাঁচ্ছে। গত জুন মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ৯৫ হাজার যাত্রী ই-গেট ব্যবহার করেছেন। ই-গেট ব্যবহারের হার দিন দিন বাড়ছে। তবে সবার হাতে ই-পাসপোর্ট পৌঁছলে ই-গেটের শতভাগ সুবিধা পাওয়া যাবে।

সূত্র: এফএনএস

সব খবর