কোলেস্টেরলকে নীরব ঘাতক বলা হয়। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয় হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে। আর এর অন্যতম কারণই হলো শিরা ও ধমনির প্রাচীরে কোলেস্টেরল জমে যাওয়া। কোলেস্টেরল আবার একা আসে না, নিজের সঙ্গে জমায় অন্যান্য স্নেহ পদার্থও। ফলে ক্ষতি হয়ে যায় রক্তপ্রবাহের। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস’।
কোলেস্টেরলকে অবহেলা করা বোকামি। তাই চেষ্টা করতে হবে জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে। তা সত্ত্বেও যদি কোলেস্টেরলকে বশে আনা না যায়, তা হলে সাবধানে থাকতে হবে। কারণ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে আরও অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। দৈনন্দিন জীবনে অনেক নিয়ম মেনে চলা জরুরি। অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসকেরাই। কিন্তু জানেন কি, রান্না ঘরের মসলা দিয়েই এই রোগকে কাবু করা যায়। তাই আসুন জেনে নেই কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় খারাপ কোলেস্টেরল-
হলুদ
হলুদে রয়েছে ‘কারকিউমিন’। হালের গবেষণা বলছে, কারকিউমিন নামক এই যৌগটিই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি ‘ভালো’ কোলেস্টেরল অর্থাৎ ‘এইচডিএল’-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
দারুচিনি
দারুচিনিতে থাকে ‘সিনাম্যালডিহাইড’ নামক একটি যৌগ, যা রক্তের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা এই শর্করার প্রভাব পড়ে ট্রাইগ্লিসারাইডের ওপর। যার ফলে বাড়তে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও।
আদা
আমিষ হোক বা নিরামিষ, সব রান্নাতেই আদা দেয়া হয়। আদায় থাকা ‘জিনজেরল্স’ এবং ‘শোগাওল্স’ নামক দুটি যৌগ রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে ধমনীতে মেদ জমতে পারে না সহজে।
গোলমরিচ
এই মসলায় রয়েছে ‘প্যাপরিন’ নামক একটি যৌগ। যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গোলমরিচের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর যৌগ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
মেথি
ফোড়ন হিসেবে অনেকেই রান্নায় মেথি ব্যবহার করে থাকেন। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, মেথিতে থাকা ‘স্যাপোনিন্স’ নামক যৌগটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।