স্ত্রীকে ভয় পায় না এমন পুরুষ আছে নাকি? তবে সেটা হল প্রেমের ‘ভয়’। মানে আপনি যাকে ভালোবাসেন, তার কথা রাখাটাই আপনার ভালোবাসা। কিন্তু সেটা যখনই নিয়ম হিসাবে সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন রাতের ঘুম উড়তে বাধ্য। তাই স্ত্রী যদি নানাভাবে স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেন, তখন পুরুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠে।
স্ত্রীর কথা শুনতে হবে, তার ভালো-মন্দের খেয়ালও রাখতে হবে। কারণ তিনিই আপনার অর্ধাঙ্গিনী। তবে সব বিষয়ে যদি স্ত্রীর কথাই মেনে নিতে হয়, তখন জীবনে স্বাধীনতা বলে কিছু থাকে না। বেঁচে থাকা হয়ে ওঠে দুর্বিসহ।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, কিছু নারী ‘কন্ট্রোলিং’ স্বভাবের হয়। তারা হয়তো সঠিক কথাই বলছেন। তবে বলার ধরনটা থাকে ভিন্নরকম। এতেই সৃষ্টি হয় সমস্যা।
ভারতীয় এই সময়ের প্রতিবেদনে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে ৫টি কৌশলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আসুন জেনে নেয়া যাক সেই কৌশলগুলো:
ধৈর্য ধরতে হবে
স্ত্রী বলছেন আর আপনি শুনবেন। তার সামনে এমন ভাব করুন যেন আপনি তার কথা মতোই চলছেন। ব্যস, দেখবেন আর কোনও সমস্যা হবে না। তবে সমস্যা হল বেশিরভাগ পুরুষ ধৈর্য ধরে স্ত্রীর কথা শুনতে চান না। আর এতেই রেগে যান স্ত্রী। তাই সচেতন হন। এখন থেকে ধৈর্য ধরে রাখার চেষ্টা করুন।
সচেতনতা
ভুলটা আপনি করেছেন। যদি প্রথমদিন থেকেই তাকে এই বিষয়ে সচেতন করেন তাহলে নিজেদের মধ্যে অশান্তি হবে না। এ জন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়কে সচেতন হতে হবে। এ ছাড়া মাথায় রাখতে হবে পুরনো ভুল কথা বলা যাবে না। এতে সমস্যা মিটবে না, বরং বাড়বে।
রাগ করা থেকে বিরত থাকুন
স্ত্রীর কথা শোনা খারাপ কিছু না। একজন আদর্শ স্বামীর বুঝি এই গুণটি থাকা দরকার বলেও অনেকে মনে করেন। তবে সময়ের সাথে সাথে সব পরিবর্তন হয়। স্ত্রী কিছু বললেই স্বামী রেগে ফেটে পড়েন। এমনকি স্ত্রীকে যা নয় তাই কথা শুনিয়ে দেন। এতে কিন্তু ঝামেলা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এমন ভুল এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
স্ত্রীকেও ব্যস্ত রাখুন
তিনি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করলে, আপনিও বা ছাড়বেন কেন? তাকেও নানা বিষয়ে ব্যস্ত করুন। ছোটখাট ভুল বুঝিয়ে বলুন। এই কাজটুকু করতে পারলেই দেখবেন তিনি নিজের ভুল ধরে ফেলেছেন। আপনাকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন না। তাই এই পথেই মুক্তির স্বাদ নেয়ার জন্য তৈরি হয়ে যান।
স্ত্রীর কথাকে কানে করবেন না
স্ত্রী বেশি কথায় কান না দেয়ায় ভালো। তার কাজ বলা; শোনা বা না শোনাটা রয়েছে আপনার হাতে। আপনি তার সামনে সব শোনার ভান করুন। কিন্তু তিনি চলে গেলেই সব ভুলে যান। একটা সময় তিনি বুঝতেই পারবেন যে আপনি তার কথা শুনছেন না। তখন কিছুটা হলেও নিজের ভুল বুঝতে পারবেন। দেখবেন উনি আর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন না।