ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, দুপুর ২:০৬
বাংলা বাংলা English English

মহাকাশে যেভাবে রোজা পালন করেন মুসলিম নভোচারী


ছবি: নাসা

চলতি বছরের ৩ মার্চ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশচারী সুলতান আননিয়াদি। তিনি টানা ছয় মাস মহাকাশ স্টেশনে কাটাবেন।

সুলতান আলনিয়াদি মহাকাশে থাকা অবস্থায়ই শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। এই মাসে রোজা পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। বর্তমানে সুলতান মহাকাশে থাকায় একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে: কীভাবে সেখানে রোজা পালন করবেন তিনি?

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুলতানকে বহনকারী মহাকাশযানটি যখন ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, তখন তিনি প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেন। আর রোজার নিয়ম হলো, সূর্যোদয়ের আগে সেহরি খেতে হবে এবং তারপর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের খাবার ও পানীয় পরিহার করতে হবে।

গত জানুয়ারিতে মহাকাশে যাওয়ার আগে সুলতান আলনিয়াদি জানিয়েছিলেন, যেহেতু তিনি মহাকাশে যাচ্ছেন তাই তিনি এখন মুসাফির বা ভ্রমণকারী। আর একজন ভ্রমণকারী হিসেবে তার জন্য রোজা রাখা অত্যাবশ্যকীয় নয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে রোজা ভাঙতে পারি। এটা অপরিহার্য নয়। আপনি যদি ভালো বোধ না করেন, তবে আপনার জন্য রোজা ফরজ নয়। এবং যেহেতু মহাকাশের যেকোনো কিছু মিশনকে ধ্বংস করতে পারে বা ক্রুদের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করতে পারে, তাই ডিহাইড্রেশন ও অপুষ্টি এড়ানোর জন্য আমাদের পর্যাপ্ত খাবারের অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সুলতান আলনিয়াদি বলেছেন, ‘আমি চাইলে গ্রিনিচ টাইম অনুযায়ী রোজা রাখতে পারি, যা অফিশিয়াল স্পেস টাইম হিসেবে বিবেচিত হয়।’

এর আগেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলনিয়াদি বলেছেন, ‘যদি রোজা রাখার সুযোগ পাই, আমি অবশ্যই তা পালন করব। রোজা রাখা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আমি অপেক্ষা করব এবং দেখব এটি রাখা যায় কি না।’

সব খবর