ঢাকা, শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, ভোর ৫:৫৯
বাংলা বাংলা English English

নাজিরপুরে আলো ছড়াচ্ছে সূর্য্যমুখীর হাঁসি


ফুল ফুটেছে তার যৌবনে, ফুলের উচ্ছ্বাসে হাসছে আকাশ বাতাস। এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। দৃষ্টিনন্দন ১৭২ একর জমিতে নাজিরপুরে আলো ছড়াচ্ছে সূর্য্যমুখীর হাসি। সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। এলাকায় বইছে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে সুবাতাস। ফুল প্রেমীরা ছুটে যাচ্ছেন সূর্য্যমুখীর হাসি দেখতে। “তাই কবি বলেছেন সূর্য্যমুখী তুমি যে দিকেই চোখ রাখো ঝরনা দেখো না। শোনো হে সূর্য্যমুখী, আবার সোনালী ছোঁয়া রূপকৌটো আঁখিতে সুরমা এঁকো, যেন এক দুপুর রোদ এসে থেমে যায় পলক শেষে, ঝলকে কথা বলবে কী? বলোনা সূর্যমুখী”। সূর্যমুখী চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান ও সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন নাজিরপুর উপজেলার কৃষকেরা। উদ্যমী কৃষকের হাত ধরে এলাকায় এখন হলুদ হাসি হাসছে অজস্র সূর্য্যমুখী ফুল। সৌন্দর্যের সাথে আয় এমন ভালো লাগার সম্ভাবনার গল্প তৈরি করেছেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের বেশ কয়েক জন কৃষক তাদের মধ্যে একজন মো. রুহুল আমিন খান। তিনি জানান, এবছর আমি প্রায় ১০ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি, গত বছরেও প্রায় ৮ একর জমিতে চাষাবাদ করেছিলাম প্রতি একরে ২৫ মন হারে ফলনও পেয়েছি। সূর্যমুখী চাষে একর প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। বিগত বছরের চেয়ে এবছর আশা করি ফলন আরো ভাল হবে। তেলের দাম এ রকম বৃদ্ধি থাকলে আমি গত বছরের তুলানায় এ বছর অধিক লাভবান হব আশা করি। উপজেলার সেখমাটিয়া গ্রামের সূর্যমুখী চাষী মিজানুর রহমান জানান, এ বছর তিনি ৫২শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ করছেন। এতে তার ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভাল পাওয়া যাবে এবং তেলের দাম এরকম বৃদ্ধি থাকলে গত বছরের তুলানায় বেশি টাকা লাভ থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন। দেশে সূর্যমুখী তেলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কোলেস্টেরল মুক্ত তেল উৎপাদনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সূর্যমুখীর ব্যপক চাষাবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যপক চাষাবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তেমনি পিরোজপুরের নাজিরপুরেও সূর্যমুখীর চাষাবাদ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাভবান হওয়ার আশায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৭২ একর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা এশা জানান, আমরা চাষীদের কে সরকারিভাবে বীজ, সার, ওষুধ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। যদি এর চেয়েও বেশি চাষী ভাইদের সুযোগ সুবিধা দিতে পারি তাহলে আরো বেশি আবাদ বাড়ানো সম্ভব হবে। দেশে যে পরিমাণ তেলের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে বিদেশি তেল আমদানি না করে আমরা দেশেই উৎপাদন করতে পারি। উল্লেখ্য গত ২৩ মার্চ আলো ছড়ানো সূর্য্যমূখী ফুলের বাগান পরিদর্শনে আসেন পিরোজপুর জেলা প্রসাশক মো. জাহেদুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পিপিএম সেবা সাইদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব দাস, শেখমাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী (নান্নু), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা এশা, উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. বাবুল আক্তার প্রমূখ।

সব খবর