ঢাকা, শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, সকাল ৬:৫৪
বাংলা বাংলা English English

ঝিনাইদহের মহেশপুর দত্তনগর কৃষি ফার্মে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে


ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে দত্তনগর কৃষি ফার্মে মথুরা ও পাতিলা ফার্মের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় আর বৃষ্টিতে শীষ থেকে ঝড়ে গেছে ধান।গত বুধবার ২৬ এপ্রিল রাতের ঝড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ফার্মের কর্মকর্তাদের থেকে জানা যায়, এবছর ১৬৫৮ একর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩০০ একর জমির ধান হারভেস্ট করতে পেরেছেন। বাকি ১৩৫১ একর জমির ধান শিলাবৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ইতিমধ্যে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানাসহ দত্তনগর ফার্মের আওতাধীন কুশাডাঙ্গা ফার্মের উপপরিচালক কৃষিবিদ রেজাউল করিম, গোকলনগর ফার্মের উপপরিচালক কৃষিবিদ জাহিদ হাসান, করিঞ্চা ফার্মের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , মুথরা ও পাতিলা এবং গোকলনগর ফার্মের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হালকা বাতাস শুরু হয়। ধীরে ধীরে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়। প্রায় ১০ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার দত্তনগর ধান বীজ উৎপাদন খামার, পার্শবর্তী করিঞ্চা, বৈচিতলা, বেগমপুর, নওদাগা, বোয়ালিয়া, নস্তি, পাতিবিলা, স্বরূপপুর, কুশাডাঙ্গা, কুসুমপুর, আজমপুর, মদনপুর, আলামপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের মাঠের ধান ঝড়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে ভুট্টাগাছ, পাট, কলাসহ অন্যান্য ফসল। ঝড়ে গেছে অর্ধশত আম বাগানের অর্ধেকেরও বেশি আম। সব মিলিয়ে উপজেলার প্রায় ১৪’শ হেক্টর জমির ফসলসহ আমের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, গতকাল রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেহেতু এটি একটি কৃষি নির্ভর উপজেলা , যার কারণে কৃষকের ফসলের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে দত্তনগর কৃষি ফার্মেও এই শিলাবৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফার্মের কর্মকর্তাদের থেকে জানা যায়, তারা ধানবীজ উৎপাদনের জন্য ১৬শ হেক্টর জমিতে ধান লাগিয়েছিল। ইতিমধ্যে ধানবীজ সংগ্রহ শুরু হয়ে গেছে। ৩শ হেক্টর জমির ধান কাটতে পেরেছে, বাকি অংশের ধান শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।
মথুরা খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মির্জা সফিকুল ইসলাম বলেন, মথুরা ফার্মের ৩২৩ একর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৬২ একর জমির ধান হারভেস্ট করতে পেরেছি। বাকি ২৬১ একর জমির ধান শিলাবৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তথ্য অনুযায়ী আরো জানাযায় যে, মথুরা ফার্ম ও পাতিলা ফার্মে প্রতিবছরের লক্ষ্যমাএা অনুযায়ী ৭০-৮০% ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও কুশাডাঙ্গা, গোকলনগর, করিঞ্চা ফার্মে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ ধানের ব্যাপক পরিমণের ক্ষতি হয়েছে।

সব খবর