কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত দেশে ঢুকছে বড় বড় মাদকের চালান। সীমান্তের প্রায় ২০ টি পয়েন্ট দিয়ে প্রায় প্রতিরাতে আসে ভারতীয় মাদকের চোরাচালান। রৌমারী আনাচে কানাচে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মাদক ব্যবসা ও সেবন। প্রতিদিন ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল ও মদ রৌমারী থেকে বিভিন্ন বাহনে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আইন শৃঙ্খলা সভায় মাদক পাচার নিয়ে বিজিবির বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা। ২৬ জুলাই বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে আইন শৃঙ্খলা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী, অন্যান্যদের মধ্যে সুজাউল ইসলাম সুজা সভাপতি রৌমারী প্রেসক্লাব, ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, সভায় বিজিবি অনুপস্থিত থাকা, কিছু অসুধপাই বিজিবি ও এফএস (গোয়েন্দা) বিভাগের সদস্যদের চোরাকারবারিদের সহযোগীতা ও অবহেলায় বাংলাদেশে আসছে ব্যাপক হারে মাদক। মাদকের চালান যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা সদরে। অন্যদিকে মাদকের ছড়াছড়িতে বাড়ির চিপেচাপিতেও অবাধে এসবের বেচাকেনা হচ্ছে। সেবন করছে
কিশোর থেকে যুবক ও মধ্য বয়সীরাও। ক্ষতি হচ্ছে, পরিবারের, সমাজের ও এলাকার। পুলিশ ও র্যাবের হাতে মাঝে মধ্যে মাদকের চালান আটকের কথা শোনা গেলেও, কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদের হাতে মাদক চালান আটকের কথা তেমন শোনা যায় না। বিজিবি ও এফএস (গোয়েন্দা)’রা দেশ প্রেমিক হয়ে সীমান্তে সঠিক ভাবে টহল জোরদার, চোরাকারবারিদের সহযোগীতা ও অবহেলা না করতো, তাহলেই মাদক পাচার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হতো। রৌমারী সদর বিজিবি কোম্পানী কমান্ডার মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভার কোন চিঠি পাইনি। তবে আইন শৃঙ্খলা সভায় এসব কথা হয়ে থাকলে তা সঠিক বলেননি। আমরা দেশ রক্ষায় সর্বক্ষণ চেষ্টা করি মাদক পাচার বন্ধে। একদিকে সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ অন্যদিকে বিজিবির সদস্য কম। পুড়াটা সামাল দিতে একটু সমস্যা হয়। বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়ন জামালপুর সহকারি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সামছুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে, মোবাইল ফোনটি কেটে দেয়।