গত কয়েক বছরে কলকাতার নন্দরাম, বাগরি, হাতিবাগান, শিয়ালদহ, বেহালাসহ বেশ কয়েকটি বাজারে আগুন লাগে। সেরকম কয়েকটি বাজার ঘুরে খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে। সেখানেই উঠে এসেছে আগুনের হাত থেকে বাঁচতে যে ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতাবাসী। খবর ডয়চে ভেলে।
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম প্রধান বাজার হলো গড়িয়াহাট বাজার। সেখানে বাজারে আগুন প্রতিরোধের জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাজারের একাংশের মেন সুইচের কাছে রাখা হয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, যা আগুন লাগলে প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করা হয়।
গড়িয়াহাটে সবজির বাজারে বিপজ্জনকভাবে তার নেয়া হয়েছে। এর ফলে আগুন লাগার সম্ভাবনা বাড়ে। দোকানদাররা এসব তার দূর করার আহ্বান জানান।
কিছুদিন আগে আগুন লেগেছিল হাতিবাগান বাজারে। তারপর সেখানেও আগুন মোকাবিলায় কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু মাছের বাজারে দেখা যাচ্ছে, বিপজ্জনকভাবে তার টানা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের একান্ত অভাব, সচেতনতারও। আর এসব বিপজ্জনক তার থেকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
কিন্তু হাতিবাগান বাজারে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সেখানে অবহেলায় ফেলে রাখা আছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো। বাঁশ দিয়ে তার ওপর ব্যাগ, থার্মোকলের বাক্স রাখা রয়েছে। যন্ত্রগুলোর চেহারা দেখলে সংশয় জাগে, কাজের সময় সেগুলো চালু করা যাবে তো!
কিছুদিন আগে আগুন লাগে কলকাতার আরেক মার্কেট বাগরিতে। এর পর সেখানেও নেয়া হয়েছে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অবস্থা ভালো। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের পাশে রয়েছে নির্দেশিকাও। সেখানে আগুন লাগলে অ্যালার্মের সুইচ টেপার অনুরোধ জানিয়ে বোর্ড লাগানো হয়েছে।
কলকাতার আরেক বাজার মানিকতলা। সেখানে ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো হয়েছে ঠিকই কিন্তু পাশেই রয়েছে তারের স্তুপ। মানিকতলা বাজারে আগুন নেভাবার প্রাথমিক ব্যবস্থা আছে। আগুন নেভানোর যন্ত্রের পাশাপাশি বালি ভর্তি বালতিও আছে। ছোট আগুন নেভাতে যা কাজে লাগে।
তাছাড়া কলকাতার নন্দরাম মার্কেটে একাধিকবার আগুন লাগার পরে সেখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে তারগুলো ঠিক করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। তাছাড়া এই বাজারের বিভিন্ন অংশে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া ছাতুবাবুর বাজারেও আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।