ঢাকা, শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, রাত ১১:০১
বাংলা বাংলা English English

কোটি টাকা আত্মসাত : ৪ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড


নোয়াখালী, ৩ অক্টোবর, ২০২২ , জেলায় আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে সোনালী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫জনকে বিভিন্ন ধারায় তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে-নোয়াখালীর সদর উপজেলার সোনাপুর বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স ডলফিন সী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এ জিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুন, সাবেক সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সাবেক এওজি ক্যাশ-২ এমএ রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত ইঞ্জিনিয়ার সামছুদ্দোহা নাহাদ।
সোমবার নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ.এন এম মোরশেদ খান এই রায় ঘোষণা করেন।
জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম জানান, মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার সময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। মামলার ১ নম্বর ও ২ নম্বর আসামি পলাতক রয়েছে।
দুদকের পিপি আরও জানান, দুটি ধারায় মেসার্স ডলফিন সী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক ও সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এ জিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুনকে দুর্নীতির দায়ে ২০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ফারুককে ২ কোটি দুই লাখ টাকা ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এ জিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুনকে এক কোটি ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অপর তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সাবেক এওজি ক্যাশ-২ এমএ রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত ইঞ্জিনিয়ার সামছুদ্দোহা নাহাদকে একাধিক ধারায় ১০ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ২২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে ব্যবসায়ী ফারুক ও চার ব্যাংক কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্লেজ গুদামে মাছ না রেখে ভুয়া প্লেজ লেটার প্রস্তুত করে। পরে তা ব্যাংকে দাখিল করে বিল-ভাউচার প্রস্তুত করে ঋণের অর্থ গ্রাহকের নামীয় ঋণ হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন করে।
পরে ঋণের অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর ও রুপান্তর করে মানিলন্ডারিং এর সাথে সম্পৃক্ত ও সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্জন করে। সর্বশেষ আলামত ধ্বংস (প্লেজকৃত মাছ) করে ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭শত টাকা আত্মসাৎ করে।
পরে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক ও বর্তমানে প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (গোয়েন্দা ইউনিট) মো. মশিউর রহমান তদন্ত শেষে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সব খবর