ঢাকা, বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৮:৫৬
বাংলা বাংলা English English

জি-২০ সম্মেলনের মধ্যেই কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া


ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। জি-২০ সম্মেলনের মধ্যেই বুধবার (১৬ নভেম্বর) দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ভূমিকম্পের তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয়-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি)। তবে এতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়া। গত কয়েকদিনে দেশটিতে ৪.৭ থেকে ৫ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এরপর সবশেষ বুধবার (১৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১ মিনিটে আঘাত হানে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে শুরু হয় জি-২০ সম্মেলন। বুধবার ছিল সম্মেলনে দ্বিতীয় ও শেষ দিন। এদিন নেতারা যখন বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছেন, ঠিক তখনই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ইউরোপীয়-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মধ্য ইন্দোনেশিয়ার নর্থ সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে গত মাসে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আব্রা প্রদেশ। ওই ভূমিকম্পে অন্তত ২৬ জন আহত হয় এবং ওই প্রদেশের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া গত মাসে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে ৫.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত ১ জনের মৃত্যু হয় বলে দেশটির আবহাওয়া ও জিওফিজিক্স সংস্থা বিএমকেজি নিশ্চিত করে। এছাড়া আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়। এটি উত্তর সুমাত্রার কয়েকটি শহরে অনুভূত হয়, ভয়ে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে।

পৃথিবীর ভূত্বকের বেশ কয়েকটি পৃথক টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে এমন একটি কম্পনপ্রবণ এলাকায় (প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার) ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েক হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পাশ ঘেষে যাওয়া ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি অত্যন্ত সক্রিয় ও বিপজ্জনক। ২০০৪ সালে ৯.১ মাত্রার প্রলয়ঙ্করী এক ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ সুনামির মুখে পড়ে ইন্দোনেশিয়া।

সব খবর