ঢাকা, বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ১০:২৫
বাংলা বাংলা English English

সিলেটের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী


আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী: ফাইল ছবি

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিশাল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এ নেতা দায়িত্ব পেয়ে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেবেন এমনটাই আশা সিলেটের বাসিন্দাদের।

 

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ ভোট পেয়ে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ২০০।

বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের নগরীর উপশহরের জালালাবাদ গ্যাস মিলনায়তনে ফল প্রকাশ করেন।

শক্তিশালী বিরোধী প্রার্থী না থাকা এবং বৃষ্টির বাগড়ায় সিলেট সিটির নির্বাচন অনেকটা নিরুত্তাপ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে শঙ্কা উড়িয়ে ভোটাররা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনকে উৎসবমুখর করে তুললেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে সিলেট সিটিতে ৪৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর সেই ভোটের ফলে সিলেট সিটিতে অবস্থান ফিরে পেল আওয়ামী লীগ, বাসিন্দারা পেলেন নতুন নগরপিতা।

এদিকে আনোয়ারুজ্জামানের জয়ে প্রায় ১০ বছর পর সিলেটের নগরপিতা হলেন আওয়ামী লীগের কোনো নেতা। আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ২০০৩ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৩ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সিলেটের নগরপিতা ছিলেন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বড় ধরনের কোনো সংঘাত ছাড়াই অনেকটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকাল ৪টায় শেষ হয় নির্বাচন। পরে ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ হয়।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ওরফে বাবুলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। মাওলানা মাহমুদুল হাসান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হলেও দলটি ভোট বর্জন করেছে।

মেয়র পদে আরও লড়েন জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র মো. আবদুল হানিফ (কুটু), মো. ছালাহ উদ্দিন (রিমন), মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সিসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬০ এবং নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন।

মোট ৪২ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ছিল ১৯০টি। এর মধ্যে স্থায়ী মোট ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ছিল ৯৫টি। ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।

সব খবর