প্রায় এক যুগ আগে বিলুপ্ত হওয়া বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির শীর্ষ পদে আসতে তোড়জোড় শুরু করেছেন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম শান্ত,ও বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সদস্যরা। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে শীর্ষ পদ পেতে জোর লবিংও শুরু করেছেন তারা।
অভিযোগ উঠেছে,বিতর্কিতদের মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন ছাএলীগ নেতা এবং বন্দর থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক দাবিদার ও বরিশাল সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কেয়ারটেকার জিৎ দাস।
এদিকে বিতর্কিতরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভ জানাচ্ছেন ছাত্রলীগের ত্যাগী-নেতাকর্মীরা।
তারা বলছেন,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ছাত্রত্ব আছে এমন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। আওয়ামী পরিবার, দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত, ক্লিন ইমেজের যোগ্য নেতৃত্ব জেলা ছাত্রলীগ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচিত করবে এমন প্রত্যাশা সবার।
জানা গেছে, এই তালিকায় মাদক ব্যবসায়ী হাসিবুল ইসলাম শান্ত, কিরন বেপারীর, নাম রয়েছে।এবং অছাত্র ও নারী কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাওয়া রনি মাতব্বরের নাম।
এছাড়া হিরন আহম্মেদ খান চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন যবদল নেতার ছেলে, হানিফ ইসলাম ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতার ছেলে , রাকিব সিকদার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতার ছেলে,
স্থানীয়ভাবে কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে চন্দ্রমোহন ফেরিঘাট বসে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ আছে।
চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ক্যান্ডিডেট তানজিল ঢালীর চাচা, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জুবাইদুর রহমান (মুন) ঢালী
চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে,মাদক ব্যবসায়ী অছাত্র ও বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তানের নাম। এমন খবরে হতবাক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এমন নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠনের দাবি তাদের।