ঢাকা, সোমবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ৬:২৮
বাংলা বাংলা English English

কাউখালীর ভ্যানগাড়ি চালক নুরুন্নবী ও সালমা দম্পতির ঘরে এ যেন এক বাতিঘর


পিরোজপুরের কাউখালীতে ভ্যানগাড়ি চালক নুরুন্নবী খুব সকালে বেড়িয়ে পরেন আয় রোজগারের জন্য।
হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর মাথার গাম পায়ে ফেলে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগিয়েছেন ভ্যানচালক নুরুন্নবী।
মা সালমা বেগম সন্তানকে দেখভাল করতেন এবং স্কুলে পৌঁছে দিতেন পায়েলকে।
এ ভাবেই পায়েলের এগিয়ে যাওয়া সেই স্বপ্ন পূরনে হলো
সন্তানের সুসংবাদ মা বাবার জন্য প্রশান্তির পরস।
কাউখালি এস,বি সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে এস,এস, সি,পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে উপজেলার দক্ষিণ বাজার নিবাসী ভ্যানচালক নুরুন্নবী ও সালমা দম্পতির মেয়ে পায়েল।
কোন বাধাই আটকাতে পারেনি পায়েলকে শতবাধা উপেক্ষা করে তার এই অর্জন।
এর আগে ২০১৭ সালে পায়েল কাউখালি সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যাল্নেপুল বৃত্তি পেয়েছে।
পায়েলের এই প্রাপ্তির পিছনে মা বাবা এবং স্কুলের শিক্ষকদের অবদান কোন অংশে কম নয়।
আগামী দিনে পায়েলের কি ভাবে হবে লেখাপড়া তা নিয়ে মা বাবা খুবই চিন্তিত।
আগামী দিনে অদম্য মেধাবী পায়েলকে লেখাপড়ার সাহায্য সহায়তা করতে এগিয়ে আসবেন হৃদয়বান বন্ধুরা। কাউখালী উপজেলা শিক্ষা অনুরাগী আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, মেধাবীদের পাশে আমাদের সবার সহযোগিতা করা দরকার। অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নূরনবী তার মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করছে। ভ্যানচালক নুরুন্নবী বলেন, আমি আমার মেয়েকে আদর্শের শিক্ষা দিয়েছি। পায়েল বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে আমি উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব।

সব খবর